আজ ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণ করে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির


অনলাইন ডেস্ক

মহানবীর (সা.) সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহ’কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নবীকূলের শিরোমণি, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তা’আলা হজরত মুহাম্মদকে (সা.) ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন।

তিনি বলেন, দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। আল্লাহর প্রতি অসীম ও অতুলনীয় আনুগত্য ও ভালোবাসা, তাঁর অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত। এ জন্য পবিত্র কুরআনে তাঁর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি সত্য ও ন্যায়ে ছিলেন প্রস্তরকঠিন কিন্তু ক্ষমা ও দয়ায় সরল। তাঁর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

মো. সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) ওপর সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সারাবিশ্বে এ মহাগ্রন্থের মর্মার্থ ছড়িয়ে দেন। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর বিদায় হজের ভাষণ সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারী হয়ে থাকবে।

বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল মহানবীর (সা.) বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সর্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়।

তিনি বলেন, মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ আমাদের সবার জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি। মহান আল্লাহ আমাদের মহানবীর (সা.) সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন। আমিন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর